বুধবার ইফতারি বর্জন করে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্রোহী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলামের পদত্যাগসহ চারদফা দাবিতে উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে রাত সোয়া নয়টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে নিয়ে আগামী রবিবারের (১৬ মার্চ) মধ্যে
বাস্তবায়নের ঘোষণা দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের হলের সিট বাতিল ও
শিক্ষার্থীদের সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হল প্রাধ্যক্ষ এক শিক্ষার্থীকে ্#৩৯;ফেল্টুস্#৩৯; বলে সম্বোধন করেছে এবং এলটমেন্ট কার্ড হারানো যাওয়ায় জিডি করতে বলেছেন।
এছাড়াও হলে সিট বাতিল হওয়ায় বুধবার (১২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ইফতারের টোকেন নিয়ে গড়িমসি করে হল প্রশাসন। এসময় একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে অশোভন আচরণ করা হয় বলে জানায় শিক্ষার্থীরা। এর প্রেক্ষিতে
শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় ইফতার বয়কটের ঘোষণা দেয় এবং নিজেদের উদ্যোগে গণ ইফতার আয়োজন করে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষাবর্ষের প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। পরে ইফতার শেষে ৪ দফা দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ ও তার দুঃখ প্রকাশ, চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের পর পরবর্তী ৩ মাস পর্যন্ত হলে থাকতে দেয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় যেকোনো আয়োজনে আবাসিক এবং অনাবাসিক সকল শিক্ষার্থীদের মানসম্মত খাবার সরবরাহ ও হলের ভাড়া সর্বোচ্চ ৫০ টাকার মধ্যে সীমিত রাখার দাবি জানায়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মিছিল প্রথমে বিদ্রোহী হলের সামনে আসে পরে শিক্ষার্থী নানান প্রতিবাদী শ্লোগান দিতে থাকে। এরপর শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ্#৩৯;সেতুবন্ধ্#৩৯; গেস্ট হাউজের সামনে আসে। পরে ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ শুনে রবিবারের মধ্যে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। এর আগে গত ২৫ ফেব্রæয়ারি প্রভোস্ট কাউন্সিলে যেসকল শিক্ষার্থীর স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং যেসকল বিভাগের স্নাতকোত্তর চালু নেই সেসকল বিভাগের স্নাতক চূড়ান্তপরীক্ষা সম্পন্নের এক মাসের মধ্যে আবাসিক হলের সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর থেকেই প্রভোস্ট কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে শিক্ষার্থীরা।
এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি কোনো শিক্ষার্থীকে ্#৩৯;ফেল্টুস্#৩৯; বলিনি। আমিও ২৪ বছর যাবত শিক্ষকতা করেছি। একজন শিক্ষার্থীর বিষয়টা বুঝি। সম্প্রতি ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের যেসব শিক্ষার্থীদের সিট বাতিল হয়েছে তাদের জন্যও ইফতারের ব্যবস্থা ছিলো। কিন্তু পারিবারিক কারণে আমি বাড়ি চলে আসায় সময়মতো সেই লিস্টটা পৌঁছানো যায় নি। তবে আমি রাতের মাঝে সেটি পাঠিয়েছি। আর সিট বাতিলের সিদ্ধান্তও আমার একার নয়। এটা প্রভোস্ট কাউন্সিলের সামগ্রিক সিদ্ধান্ত।