রমজান মাসে সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। তবে দীর্ঘসময় না খাওয়ার পর অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ শরীরের জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে। চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দেন, ইফতারে ভারী ও অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার না খেয়ে হালকা ও পুষ্টিকর খাবারের প্রতি মনোযোগ দেওয়া উচিত।
অতিরিক্ত খাবারের ক্ষতিকর প্রভাব
ইফতারে মাত্রাতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করলে হজমজনিত সমস্যা, গ্যাস, অ্যাসিডিটি ও পেট ফাঁপা হতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার ও মিষ্টি খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি ও রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস কী হওয়া উচিত?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইফতার শুরু করা উচিত খেজুর ও পানি দিয়ে, যা শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। এরপর সহজে হজম হয় এমন ফলমূল, শস্যজাতীয় খাবার ও স্যুপ গ্রহণ করা ভালো। ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে প্রোটিন ও ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খেলে শরীর সতেজ থাকবে এবং দীর্ঘসময় শক্তি বজায় থাকবে।
পরিমিত খাবার গ্রহণের পরামর্শ
১. খেজুর ও পানি দিয়ে ইফতার শুরু করুন।
2. ফলমূল ও শস্যজাতীয় খাবার খান।
3. অতিরিক্ত ভাজাপোড়া ও মিষ্টি এড়িয়ে চলুন।
4. ধীরে ধীরে খাবার গ্রহণ করুন, যাতে হজমের সমস্যা না হয়।
5. পর্যাপ্ত পানি পান করুন, তবে একবারে বেশি নয়।
সুস্থ ও সতেজ থাকার জন্য ইফতারে ভারসাম্যপূর্ণ খাবার গ্রহণ করা জরুরি। অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের ফলে তা উপকারের চেয়ে ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই স্বাস্থ্যকর ও পরিমিত খাবারের দিকে মনোযোগ দেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।