বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাজ্য সহযোগিতা করতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক শেষে আজ সোমবার দুপুরে সিইসি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিইসির সঙ্গে বৈঠকে বসেন যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক। বৈঠকে যুক্তরাজ্য হাইকমিশনের রাজনৈতিক ও সুশাসন বিভাগের প্রধান টিমোথি ডাকেট ও নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।এক ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক শেষে সিইসি নাসির উদ্দীন বলেন, ‘ওনারা (যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার) জানতে এসেছিলেন পরবর্তী সংসদ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি কেমন, কোন পর্যায়ে আছে এবং কী ধরনের প্রস্তুতি চলছে। ওনারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সহায়তা দিতে চান।’
নির্বাচন কমিশন যা যা করছে, তা যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ভোটার নিবন্ধন, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন সম্পর্কে জানানো হয়েছে। ইসি শিগগিরই কেনাকাটায় যাবে, তবে তা সময়সাপেক্ষ। সময়মতো পর্যবেক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু করা হবে। ডিসেম্বরকে মাথায় রেখে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে অক্টোবরে শিডিউল (তফসিল) ঘোষণা করতে হবে বলেও জানান সিইসি নাসির উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘যাতে ওই সময়টা (ডিসেম্বর) মিস না হয়, সেভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এটা তাঁদের বোঝানো হয়েছে। তাঁরা (যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার) খুব অ্যাপ্রিশিয়েট (অভিবাদন) করেছেন। কমিশনের অগ্রগতি শুনে তাঁরা সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছে।’এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি নাসির উদ্দীন বলেন, নির্বাচনের ট্রেনের ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টা দিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বর বা সামনের বছরের প্রথম দিকে নির্বাচন হবে।বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে যুক্তরাজ্য সাহায্য–সহযোগিতা করতে চান উল্লেখ করে সিইসি বলেন, পর্যবেক্ষক ও এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।