হিজবুত তাহরীর একটি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন এবং আইন অনুযায়ী তাদের সব কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে জানিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর।শুক্রবার (৭ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো পুলিশ সদরদপ্তরের এক বার্তায় এ কথা জানানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, হিজবুত তাহরীর দেশের আইন অনুযায়ী একটি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন। জননিরাপত্তার প্রতি হুমকি বিবেচনায় ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকার হিজবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯ অনুযায়ী নিষিদ্ধঘোষিত যেকোনো সংগঠনের কার্যক্রম দণ্ডনীয় অপরাধ। এর আওতায় হিজবুত তাহরীরের সভা, সমাবেশ, মিছিল, পোস্টার-লিফলেট বিতরণ বা প্রচারের যেকোনো প্রচেষ্টা আইন লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে। নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর যেকোনো প্রচারণামূলক কার্যক্রম কঠোর নজরদারিতে রয়েছে এবং প্রয়োজন হলে তা দমনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা থেকে হিজবুত তাহরীরের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।তারা হলেন- মনিরুল ইসলাম (৪০), মোহতাসিন বিল্লাহ (৪০) এবং মাহমুদুল হাসান (২১)।
সিটিটিসি সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে সিটিটিসির একটি দল উত্তরা পশ্চিম থানাধীন সেক্টর-১১ ও সেক্টর-১২ এলাকায় হিজবুত তাহরীরের কতিপয় সক্রিয় সদস্য ৭ মার্চ বাইতুল মোকাররাম মসজিদ এলাকায় ‘মার্চ ফর খিলাফত’ নামে একটি সমাবেশ পালন সংক্রান্ত গোপন পরিকল্পনা করছিল। এ সময় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করা হয়েছে।সিটিটিসি সূত্র আরও জানায়, গ্রেপ্তাররা প্রত্যেকে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে এবং তাদের কাছ থেকে জব্দ করা আলামত থেকে প্রাথমিকভাবে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। তাদের অন্য সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সিটিটিসির চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।