ফরিদপুর জেলা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান পেঁয়াজ উৎপাদনকারী জেলা হিসেবে পরিচিত, যেখানে সালথা, বোয়ালমারী এবং নগরকান্দা উপজেলায় সবচেয়ে বেশি হালি পেঁয়াজের চাষ হয়। বিশেষভাবে সালথাকে ‘পেঁয়াজের রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।ফরিদপুর কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এই বছরে জেলার হালি পেঁয়াজ উৎপাদনের সম্ভাবনা ৬ লাখ টনের বেশি। এর মধ্যে সালথায় উৎপাদিত হবে ২ লাখ টন এবং বোয়ালমারীতে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫৭৫ টন পেঁয়াজ উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে।বর্তমানে চাষিরা তাদের খেতের পরিচর্যার শেষ পর্যায়ে ব্যস্ত রয়েছেন এবং কয়েক দিনের মধ্যে পেঁয়াজ উত্তোলন কাজ শুরু হবে। এজন্য বাঁশের বানা তৈরির কাজ চলছে।এ বছরের পেঁয়াজ চাষি আবু মোল্লা, ওবায়দুর, ফরিদ মোল্লা ও পলাশ মণ্ডল জানান, গত বছর ন্যায্যমূল্য পাওয়ার কারণে এবারের আবাদ বেড়েছে। তবে মুড়িকাটা পেঁয়াজের বাজারদর আশানুরূপ নয়। তারা জানান, পেঁয়াজ উৎপাদনে যে খরচ হয়েছে, তাতে প্রতি মণ পেঁয়াজের দাম ২ হাজার টাকা না হলে লাভ হবে না। বিশেষভাবে বর্গাচাষিদের লোকসানের শঙ্কা রয়েছে।সালথা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপ বিশ্বাস জানান, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।ফরিদপুর কৃষি বিভাগের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহাদুজ্জামান বলেন, “জেলাজুড়ে বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফরিদপুরের পেঁয়াজ জেলা চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে।”চাষিদের আশা, যদি বাজারে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা যায়, তবে তাদের কষ্ট সার্থক হবে এবং তারা ভালো লাভের মুখ দেখতে পারবেন।