টাঙ্গাইলে মানসিক ভারসাম্যহীনদের নিয়ে সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরের বাসা দখল, ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তারকৃত নারী সমন্বয়ক ও ছাত্রপ্রতিনিধি মারিয়াম মোকাদ্দেস মিষ্টির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গোলাম মাহবুব খান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর আগে রবিবার রাত ১২টার দিকে টাঙ্গাইল শহর থেকে মারিয়াম মোকাদ্দেস মিষ্টিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।আদালত ও পুলিশ সূত্র জানায়, মিষ্টিকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে সোমবার সকালে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।পরে আদালতের বিচারক শুনানি শেষে তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গ্রেপ্তারকৃত মারিয়াম মোকাদ্দেস মিষ্টি বাসাইল উপজেলার জশিহাটী গ্রামের শাহ আলমাসের স্ত্রী।তিনি বর্তমানে টাঙ্গাইল শহরের পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়ায় বসবাস করছেন।এ ঘটনায় রবিবার রাতে সাবেক এমপির স্ত্রী রওশন আরা খান বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মিষ্টিকে এক নম্বর আসামি ও অজ্ঞাত আরও ৭-৯ জনকে আসামি করা হয়।এদিকে রবিবার রাত ১১টার দিকে মানসিক ভারসাম্যহীন ১৭ জনকে ময়মনসিংহ ও গাজীপুরের সরকারি আশ্রমে পাঠানো হয়।এর আগে শনিবার সকালে জোয়াহেরুল ইসলামের বাসার তালা ভেঙে ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে নিয়ে ভবনে প্রবেশ করেন ছাত্রপ্রতিনিধি ও সমন্বয়ক মারইয়াম মুকাদ্দাস মিস্টি। সেখানে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীনদের জন্য আশ্রম বানানোর ঘোষণা দেন।বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এতে নড়চড়ে বসে প্রশাসন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে বাড়িটি দখলমুক্ত করে।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন শরিফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।পরে মুচলেকা দিয়ে রাতেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।এদিকে জুলাই আন্দোলন চলাকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমন্বয়ক হিসেবে মিষ্টির নাম থাকলেও ওই কমিটি বাতিল করা হয়। পরে টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে কমিটি গঠন করা হয়েছে সেখানে জায়গা হয়নি মিষ্টির নাম।উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের ২০১৮ সালে টাঙ্গাইল-৮ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক। গত ৬ ফেব্রুয়ারি বাড়িটিতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকে বাড়িটিতে আর কোনো লোক দেখা যায়নি।