সবজি চাষে কম্পোস্ট ব্যবহারে সফলতা তুলে ধরে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বুড়িগোলিনীতে স্থানীয় কিষানিদের নিয়ে অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।গতকাল রবিবার শ্যামনগর উপজেলায় দাতিনাখালী গ্রামে বিল্ডিং এজেন্সি অব ইয়ুথ ইন ক্লাইমেট অ্যাকশন প্রকল্পের আওতায় যুব সংগঠন বনজীবী ইয়ুথ টিম এ কর্মসূচি আয়োজন করে। এতে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে রাসায়নিক সারের বিপরীতে কম্পোস্ট সার তৈরিতে আগ্রহী ২৬ জন প্রান্তিক কিষানি অংশ নেন। সভায় কম্পোস্ট সার তৈরির প্রশিক্ষণ দেন শ্যামনগর উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শেখ জামাল হোসেন।সভায় বলা হয়, জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে প্রতিনিয়ত শ্যামনগর উপকূলীয় এলাকার কৃষি জমির লবণাক্ততা বাড়ছে। এতে কৃষি জমি কমছে। এই সঙ্গে রাসায়নিক সার ব্যবহারে জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। জৈব সার ব্যবহার করে মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা না করলে আগামী ফসলহানির শঙ্কা রয়েছে। এজন্য কম্পোস্ট সার ব্যবহারে সবাইকে সচেতনভাবে এগিয়ে আসতে হবে।কৃষি অফিসের তথ্যমতে, উর্বর মাটিতে ৫ শতাংশ জৈব পদার্থ থাকার কথা। এতে মাটিতে পানির ধারণক্ষমতা ও বায়ু চলাচলের সুযোগ বাড়ে। কিন্তু দেশের বেশির ভাগ এলাকায় মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ মাত্র ১ শতাংশ। তাই মাটিতে জৈব সারের ব্যবহার বাড়ালে মাটির প্রাকৃতিক উর্বরতা বাড়বে। ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার মাটিকে নরম করে এবং পানি ধারণক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন অণুজীবের বসবাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে। অন্যদিকে রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে ক্রমেই ভূমির উর্বরতা কমে যেতে থাকে। ফলে এখন থেকেই মাটিতে কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহার বাড়াতে হবে।