নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত মাহমুদ খলিলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের স্থগিতাদেশের সময়সীমা বাড়িয়েছেন এক মার্কিন বিচারক। খলিলের বিরুদ্ধে আনা এই মামলা ট্রাম্প প্রশাসনের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের অংশ, যেখানে কিছু ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। খবর রয়টার্স।বিচারক জেসি ফুরম্যান বুধবার (১২ মার্চ) খলিলের বহিষ্কার স্থগিতের আদেশের সময় বাড়িয়েছেন, যাতে তিনি গ্রেফতারের সংবিধানগত বৈধতা নিয়ে আরো সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগ (ডিএইচএস) বলেছে, খলিলের উপস্থিতি মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির পরিপন্থী বলে তাকে বহিষ্কার করা হতে পারে। তবে খলিলের আইনজীবীদের দাবি, গাজার ওপর ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে তার সরব অবস্থানের কারণেই তাকে টার্গেট করা হয়েছে, যা তার মতপ্রকাশের স্বাধীনতার লঙ্ঘন।
খলিলের স্ত্রী নুরা আব্দাল্লাহ আদালতের বাইরে বলেছেন, তিনি চান তার স্বামী তাদের প্রথম সন্তানের জন্মের আগেই মুক্তি পান।খলিল নিজে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা (গ্রিন কার্ডধারী) এবং তার স্ত্রীও একজন মার্কিন নাগরিক এবং তিনি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গত শনিবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় মার্কিন অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ (আইসিই) বিভাগের এজেন্টরা খলিলকে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকা থেকে আটক করে। খলিল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ও জননীতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী।কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনের একজন প্রধান আলোচক ছিলেন তিনি। তবে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন দখলে জড়িত ছিলেন না বরং, প্রশাসন ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছিলেন খলিল।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছেন যে, খলিল হামাসকে সমর্থন করেন। তবে তার বিরুদ্ধে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়নি এবং কোনো প্রমাণও দেয়া হয়নি।