রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ১১ মার্চ জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত এক মাসের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পর যুক্তরাষ্ট্র আবারও ইউক্রেনকে অস্ত্র ও গোয়েন্দা সহায়তা প্রদান শুরু করেছে, যা আগের সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন স্থগিত করে দিয়েছিল।
তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই যুদ্ধবিরতি রাশিয়ার জন্য লাভজনক নয়, কারণ এটি ইউক্রেনকে নতুন করে রসদ সংগ্রহের সুযোগ দেবে এবং এটি স্থায়ী হয়ে যেতে পারে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রধান লক্ষ্যগুলো এখনও অর্জিত হয়নি, যেমন পশ্চিমা সম্পর্ক থেকে ইউক্রেনকে বিচ্ছিন্ন করা, তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা, এবং দেশের সামরিক শক্তি দুর্বল করে দেওয়া।
বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, পুতিন যুদ্ধবিরতির শর্তে নিজের দাবিগুলো জুড়ে দিতে চাইবেন, যেমন ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সহায়তা বন্ধ করা, রাশিয়ার দখল করা ভূখণ্ডকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া বা দেশে আগাম নির্বাচন আয়োজন করা। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এসব শর্ত প্রত্যাখ্যান করা এবং যুদ্ধবিরতির কার্যকারিতা নিশ্চিত করা।
এখন প্রশ্ন হলো, পুতিন কি সত্যিই যুদ্ধের ইতি টানতে রাজি হবেন, নাকি কূটনৈতিক মঞ্চে আরও কিছু সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করবেন?