এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ঢাকার ঐতিহ্যবাহী পান্থকুঞ্জ পার্ককে পুনরুজ্জীবিত করতে ১০ দিনের বৃক্ষযাত্রা এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশীয় ফলজ, বনজ ও ভেষজ গাছের সুস্থ সবল চারা উপহার দেওয়ার জন্য নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
বৃক্ষযাত্রা কর্মসূচির সময়সীমা
বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী ১৩ মার্চ থেকে ২৩ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত নাগরিকরা কারওয়ান বাজারের পান্থকুঞ্জ উদ্যানে গাছের চারা দান করতে পারবেন। সংগঠনটি জানিয়েছে, প্রাপ্ত চারা বর্ষা মৌসুমে রোপণের জন্য সংরক্ষণ করা হবে।
যে গাছের চারা উপহার দেওয়া যাবে
উদ্যানের পরিবেশ পুনরুদ্ধারে জন্য নিম্নলিখিত দেশীয় গাছগুলো চারা হিসেবে দান করা যেতে পারে—
ফলজ গাছ:
কাঁঠাল, আম, নারিকেল, বড়ই, আতাফল, কদবেল, বেল, বহেরা, আমলকী, হরীতকী, চাপালিশ, ডুমুর, জাম্বুরা, কামরাঙা, বিলম্বী, পেয়ারা।
বনজ, ভেষজ ও ফুলগাছ:
অর্জুন, নিম, অড়হড়, কৃষ্ণচূড়া, কদম, জারুল, পলাশ/মান্দার, নাগেশ্বর, করবী, কুর্চী, রাধাচূড়া, গন্ধরাজ, কাঠবেলী, বাসক, গগন শিরীষ, সোনালু।
লতা, গুল্ম ও ঘাসজাতীয় গাছ:
মাধবীলতা, কুঞ্জলতা, বাগানবিলাস, হাস্নাহেনা, কচু, মুলী বাঁশ, বুদ্ধ বাঁশ।
বৃক্ষরোপণের জন্য বিশেষ আয়োজন
বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্ষার একটি বিশেষ দিনে একসঙ্গে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে পান্থকুঞ্জ পার্ককে পুনরায় সবুজে ভরিয়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যাতে তা ফুল, পাখি ও গাছগাছালির আবাসস্থল হয়ে ওঠে।
যোগাযোগ ও গাছ দানের প্রক্রিয়া
যে কেউ পরিচিত দেশীয় গাছের চারা দান করতে পারেন। পাশাপাশি গাছ রোপণের পদ্ধতি বা নতুন কোনো প্রস্তাবনা থাকলে তা bdtreeprotectionmovement@gmail.com ঠিকানায় ইমেইল করে জানানো যাবে।
এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো ঢাকা শহরে মুক্ত বায়ু ও সবুজের পরিমাণ বাড়ানো, যা নগরবাসীর সুস্থ জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংগঠনটি সকল নাগরিককে এই উদ্যোগে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।