বেসরকারি খাতের মেঘনা ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক ও এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নতুন পর্ষদে স্থান পেলেন সাবেক ব্যাংকার, শিক্ষক ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টরা
এই তিন ব্যাংকে উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডারদের মধ্য থেকে পরিচালক ও স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে সাবেক ব্যাংকার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
২০১২ সালে অনুমোদন পাওয়া মেঘনা ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক ও এনআরবিসি ব্যাংক চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মধ্যে অন্যতম। এসব ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের মধ্যে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা ছিলেন।
পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার আগে মেঘনা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এন আশিকুর রহমান, এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান, এবং এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন পারভেজ তমাল।
তিন ব্যাংকের নতুন পর্ষদ
🔹 মেঘনা ব্যাংক:
- উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার: উজমা চৌধুরী
- স্বতন্ত্র পরিচালক: বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. মামুনুল হক ও মো. রজব আলী, যমুনা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, প্রাইম ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মো. আলি আকতার রিজভী।
🔹 এনআরবি ব্যাংক:
- উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার: ইকবাল আহমেদ ওবিই
- স্বতন্ত্র পরিচালক: গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ফেরদৌস আরা বেগম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক শেখ মো. সেলিম, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম চৌধুরী, প্রাইম ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মতিউর রহমান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শরীফ নূরুল আহকাম এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মিজানুর রহমান।
🔹 এনআরবিসি ব্যাংক:
- স্বতন্ত্র পরিচালক: বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. আবুল বশর ও মো. আনোয়ার হোসেন, সোনালী ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল হক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শফিকুর রহমান, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সিদ্ধান্ত ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।