নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকৌশল খাতের কোম্পানি জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে আলফা ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (আলফারেটিং)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ মাইনাস’ এবং স্বল্পমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এসটি-২’। ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ১০ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানি। অনুমোদিত মূলধন এক হাজার কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৪৮৩ কোটি ৮৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১ হাজার ৯২২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৪৮ কোটি ৩৮ লাখ ৮৩ হাজার ৪৫৬টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪১ দশমিক ৫৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ব্যতীত সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৭ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২৪ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫২ টাকা ৪৩ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৯ টাকা ৮৯ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ নগদ (শুধুমাত্র সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য) ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৮ পয়সা আর ৩০ জুন, ২০২৩ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৩ টাকা ৮ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা (ঘাটতি)।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের সাড়ে ৫ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৪২ পয়সা আর ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৭৯ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে সাত টাকা ১৫ পয়সা (ঘাটতি)। ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ১৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৯ টাকা ৮৬ পয়সা।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশ বা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২১ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৯০১টি শেয়ার মোট ৩৩৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১ কোটি ২ লাখ টাকা। দিনভর কোম্পানিটির শেয়ারদর ২০ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ২১ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৯ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৩ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
