পত্রিকার পাতা
ঢাকাশুক্রবার , ১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উদ্যোক্তা
  5. কর্পোরেট
  6. কৃষি ও প্রকৃতি
  7. ক্যাম্পাস-ক্যারিয়ার
  8. খেলাধুলা
  9. চাকরির খবর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. তারুণ্য
  13. ধর্ম
  14. পর্যটন
  15. প্রবাস
আজকের সর্বশেষ সব খবর

ঘুরে আসুন চাঁদপুরের মিনি কক্সবাজার

Main Admin
মার্চ ১৩, ২০২৫ ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ভ্রমণ সব সময়ের জন্য আনন্দের। সেটা যেখানেই হোক। জীবনকে উপভোগ করতে হলে মাঝে মধ্যে ভ্রমণ করা অনেক জরুরি। অন্যথায় জীবনে চলার ক্ষেত্রে জীবনের মানে হারিয়ে ফেলবে। আপনি যদি কোথাও ভ্রমণ করার উদ্দেশে রওনা হন-তাহলে দেখবেন, ভ্রমণের সময় অনেক ছোট ছোট বিষয় আপনার কাছে আনন্দদায়ক মনে হবে। ভ্রমণ করলে আপনি একটি আলাদা অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন। কারণ, ভ্রমণ করলে আপনি যে দৈনিক রুটিনের মধ্যে চলাফেরা করেন, তা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।
ভ্রমণটা হতে পারে আপনার আশপাশে অথবা দেশ ও দেশের বাইরে যেকোনো জায়গায়। নিজেকে সবার মাঝে খুঁজে পেতে ঘুরে আসতে পারেন দেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে। এর মধ্যে রয়েছে ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরের মিনি কক্সবাজারে। বালুচরে খেলাধুলা, নদীর পানিতে পা ভিজিয়ে হাঁটা এবং প্রকৃতির সান্নিধ্য উপভোগ করতে পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে মিনি কক্সবাজার। যেন সেই ডাকে সাড়া দিয়েই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সেখানে থাকছে বিনোদনপ্রেমীদের ভিড়।
বাংলাদেশে পদ্মা-মেঘনার একমাত্র মিলনস্থল চাঁদপুরে। এই নদীর বুকে জেগে উঠেছে মিনি কক্সবাজারখ্যাত বালুর চর। পদ্মা-মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীকে ঘিরে নাম দেওয়া হয় চাঁদপুর বড়স্টেশন মোলহেড। আর এই তিন নদীর মোহনা থেকে খুব সহজই যাওয়া যায় দৃষ্টিনন্দন মিনি কক্সবাজারে।
মেঘনার চর বাংলাদেশের চাঁদপুরের রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থলে অবস্থিত মিনি কক্সবাজার পর্যটনকেন্দ্রটি। এটি নদীকেন্দ্রিক বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যটনকেন্দ্র। এর চারদিকে নদী হওয়ায় কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের মতো দেখায়। তাই পর্যটকরা এই নাম দিয়েছেন। স্থানীয়ভাবে বালু চর, পদ্মার চর ও মেঘনার চর নামেও এর পরিচিতি রয়েছে। বেসরকারিভাবে ‘স্বপ্ন ট্যুরিজম’ নামক প্রতিষ্ঠান পর্যটনকেন্দ্রটি পরিচালনা করে।


মিনি কক্সবাজারে প্রতিদিন ভিড় করে শত শত দর্শনার্থী। ডিসেম্বর থেকে চলমান এই সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা এই স্থানে ঘুরতে আসেন। এমনকি পরিবার-পরিজন নিয়ে কক্সবাজারের ফিল পেতে চাঁদপুরের মানুষের একমাত্র জায়গা এটি। অবকাঠামোগত কোনো উন্নয়ন না থাকলেও স্বল্প খরচ আর কম সময়ের মধ্যে ঘুরে দেখা যায় এ স্থানটি। চাঁদপুর বড় স্টেশন থেকে জনপ্রতি ১০০ টাকার মধ্যে ট্রলার নিয়ে ঘুরে আসা যায় মিনি কক্সবাজারখ্যাত পদ্মার বালুর চর থেকে। জানুয়ারিতে এখানে রয়েছে আরও একটি সৌন্দর্য। স্থানীয় কৃষকরা এই চরে সরিষার চাষ করেন। হলুদের সমারোহে সরিষা ফুলে মন জুড়িয়ে যায় যেকোনো পর্যটকের। দলবেঁধে কিংবা পিকনিক স্পটের জন্য খোলামেলা এ স্থানটি হতে পারে বিনোদন স্পট।
এক দিনে চাঁদপুর মিনি কক্সবাজার ঘুরে দেখা ছাড়াও রয়েছে পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া- এই তিন নদীর মিলনস্থল দেখার সৌন্দর্য। রয়েছে পদ্মা-মেঘনার ভিন্ন রঙের পানি ও সূর্যাস্ত দেখার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। এর পাশেই রয়েছে মাছঘাট। এখানে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাইকারি ও খুচরা মূল্যে কেনা যায়। এ ছাড়া ভ্রমণের তালিকায় এই চাঁদপুরে রয়েছে বাংলাদেশের একমাত্র মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, ফরিদগঞ্জের রূপসা জমিদারবাড়ি ও লোহাগড়া মঠ, দেশের সর্ববৃহৎ মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম দৃষ্টিনন্দন হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ, চাঁদপুর সদরের ফারিসা হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, মতলব উত্তরের মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্র, চাঁদপুর শহরে রয়েছে অঙ্গীকার ভাস্কর্য, বড় স্টেশন মোলহেডে রয়েছে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মিত রক্তধারা ভাস্কর্য ও জাতীয় মাছ ইলিশের আদলে নির্মিত ইলিশ ভাস্কর্য। যদিও শহরের প্রবেশদ্বার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রয়েছে ইলিশ চত্বর।

কীভাবে যাবেন
দেশের যেকোনো স্থান থেকে সড়ক, রেল ও নৌপথে খুব সহজেই যাওয়া যায় চাঁদপুরে। সড়কপথে যেতে হলে কুমিল্লা হয়ে চাঁদপুর জেলা শহরে আসা যায়। এ ক্ষেত্রে রাজধানী ঢাকা থেকে বিআরটিসি ও পদ্মা বাস পাওয়া যায়। ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। এ ছাড়া স্বল্প সময়ে আসতে চাইলে ঢাকা থেকে গৌরীপুর বা শ্রী রায়েরচর থেকে মতলব হয়ে বাবুরহাট দিয়েও চাঁদপুর জেলা শহরে আসা যায়। নৌপথে আসতে চাইলে ঢাকা সদরঘাট থেকে সকাল ৬টা থেকেই চাঁদপুরের উদ্দেশে বিভিন্ন লঞ্চ ছেড়ে যায়। জনপ্রতি ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে আসনভেদে বিভিন্ন ভাড়ায় চাঁদপুর লঞ্চঘাটে পৌঁছানোর পর সেখান থেকে অটোরিকশায় ১০ টাকায় বড় স্টেশনে আসতে পারবেন। তা ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের লাকসাম রেলওয়ে জংশন থেকেও বেলা ১১টায় সাগরিকা এবং রাত ৮টায় আন্তঃনগর মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে জনপ্রতি ৫০ টাকা ভাড়ায় চাঁদপুর বড় স্টেশনে এসে নামা যায়।


কোথায় থাকবেন
শহরে রয়েছে চাঁদপুর সার্কিট হাউস, হোটেল হিলশাসহ বিভিন্ন বাজেটের আবাসিক হোটেল। প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসন কিংবা গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে অন্যান্য হোটেলের বিষয়ে জানা যাবে।

কোথায় খাবেন
চাঁদপুর লঞ্চঘাট কিংবা চাঁদপুর মাছঘাটে রয়েছে তাজা ইলিশ ভেজে ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা। এ ছাড়া চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি এলাকায় রয়েছে অসংখ্য চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এবং হোটেল।

সতর্কতা
চাঁদপুর ভ্রমণে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাদের কথাকে গুরুত্ব দিয়ে আপনার সিদ্ধান্ত নিয়ে চলতে হবে। ব্যতিক্রম কিছু দেখলে বা অনুভব করলে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে পারেন।
সাঁতার না জানলে গোসলের সময় নদীর বেশি গভীরে যাবেন না। ট্রলার চলাকালে ট্রলার এর কিনারে বসবেন না। ট্রলারে ওঠার সময় সাবধানে মই ব্যবহার করে উঠবেন। বেশি সময় থাকার পরিকল্পনা করলে সঙ্গে শুকনো খাবার, মিনারেল ওয়াটার, সানগ্লাস, টুপি নিয়ে আসবেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।