বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এবং মসলিন ক্যাপিটাল লিমিটেডের বিভিন্ন কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।সম্প্রতি বিএসইসি থেকে এ-সংক্রান্ত দুটি আদেশ জারি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম।
ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের তদন্ত
তালিকাভুক্ত ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের
- পুঁজিবাজার থেকে তহবিল সংগ্রহের বৈধতা
- আর্থিক প্রতিবেদনের স্বচ্ছতা ও আন্তর্জাতিক হিসাবমান অনুসরণ করা হয়েছে কিনা
- আইপিও থেকে সংগৃহীত অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় হয়েছে কিনা
এসব বিষয় খতিয়ে দেখবে বিএসইসির তদন্ত কমিটি।
২০১৮ সালে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে ইন্দো-বাংলা ফার্মা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। আইপিও থেকে পাওয়া অর্থ মূলত যন্ত্রপাতি আমদানি ও আইপিও খরচে ব্যবহার করা হয়েছে।প্রাথমিকভাবে নির্মাণ ও পূর্তকাজে অর্থ ব্যয়ের পরিকল্পনা থাকলেও পরবর্তীতে তা পরিবর্তন করে যন্ত্রপাতি আমদানিতে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।২০২৩-২৪ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে অসংগতি থাকার কারণে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের নিরীক্ষক বেশকিছু বিরূপ মতামত প্রদান করেছেন।১২৮.৬৯ কোটি টাকার সম্পদ, কারখানা ও সরঞ্জামের খতিয়ান পাওয়া যায়নি।মজুদ পণ্যের (কাঁচামাল, প্রস্তুতকৃত পণ্য ও প্রক্রিয়াধীন পণ্য) তথ্য গোপন করা হয়েছে।ভ্যাট রিটার্নে ১২ মাসে ৯.১১ কোটি টাকার বিক্রি দেখানো হলেও আর্থিক প্রতিবেদনে ২০.৩১ কোটি টাকা বিক্রির তথ্য দেওয়া হয়েছে।২০২৩-২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি ৪.০৯ কোটি টাকা লোকসান করেছে, যা ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের জন্য অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত দেয়।
মসলিন ক্যাপিটালের কার্যক্রম খতিয়ে দেখবে বিএসইসি
সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান মসলিন ক্যাপিটাল লিমিটেডের অর্থনৈতিক কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখবে বিএসইসির তদন্ত কমিটি।২০১৯ সালে মসলিন ভেঞ্চার ভিসি ফান্ড-ওয়ান নামে ১০ কোটি টাকার ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড গঠন করে।এর বাইরে প্রতিষ্ঠানটি আর কোনো নতুন ফান্ড চালু করতে পারেনি।
বিএসইসির তদন্ত কমিটি ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস ও মসলিন ক্যাপিটালের আর্থিক কার্যক্রমের স্বচ্ছতা যাচাই করবে।ইন্দো-বাংলা ফার্মার আইপিও অর্থ ব্যবহারে অনিয়ম রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।মসলিন ক্যাপিটাল যথাযথভাবে সম্পদ ব্যবস্থাপনা করছে কিনা, সেটিও তদন্ত করা হবে।এই তদন্তের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং পুঁজিবাজারে সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।