শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মল্লিককান্দি ও সেনেরচর গ্রামের মাঠ পেঁয়াজবীজের সাদা সাদা ফুলে ভরে গেছে। এসব ফুল নয়ন জুড়ানোর পাশাপাশি বিপুল অর্থ আয়ের সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তুলেছে। এই পেঁয়াজের বীজ দেশের কৃষি অর্থনীতিতে নতুন এক দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
মল্লিককান্দি ও সেনেরচর গ্রাম ছাড়াও জাজিরার মসলার এলাকাখ্যাত বিকেনগরে এবার প্রথমবারের মতো পেঁয়াজবীজের চাষ শুরু হয়েছে। শরীয়তপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির সহযোগিতায় পল্লি কর্মসংস্থান প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগটি নেওয়া হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা চাষে সফলতা পাচ্ছেন। এর ফলে তাদের মুখে হাসি ফুটেছে।
কৃষকরা জানাচ্ছেন, এ বছর পেঁয়াজবীজের দাম বেশি হওয়ায় লাভের পরিমাণ প্রায় তিন গুণ বেড়ে গেছে। একে ‘কালো সোনা’ নামে অভিহিত করা হয়। বিকেনগরের করিমউদ্দিন মাদবরকান্দি গ্রামের ওয়াহেদ আলী মৃধা বলেন, ‘এ বছর আমি প্রথমবারের মতো ১৫ শতক জমিতে পেঁয়াজবীজ চাষ করেছি। ফুলে দানা ভালো এসেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলন হবে।’
সেনেরচর গ্রামের কৃষক আ. কালাই মল্লিক বলেন, ‘৩০ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলক পেঁয়াজবীজ চাষ করেছি। খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছি। যদি সবকিছু ঠিক থাকে, আমি প্রায় দেড় লাখ টাকার ওপর বীজ বিক্রি করতে পারব। আগামীতে বড় পরিসরে চাষের পরিকল্পনা আছে।’
এসডিএসের কৃষি কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘জাজিরা উপজেলার মাটি পেঁয়াজ এবং পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনের জন্য আদর্শ। ফসলের সময়কাল ১৫০-১৬৫ দিন। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে চৈত্র মাসে ফসল কাটা যাবে। জাতভেদে হেক্টরপ্রতি ৬০০ থেকে ১ হাজার ২০০ কেজি বীজ উৎপাদন সম্ভব।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামীতে আরও বেশি কৃষক পেঁয়াজবীজ চাষে আগ্রহী হবে।